
Intro
জীবন বৃত্তান্ত
০১। নাম ঃ অধ্যক্ষ মো: শামছুল ইসলাম
০২। পিতার নাম ঃ মরহুম আব্দুল গফুর
০৩। মাতার নাম ঃ মোছা: সমির্তা বানু
০৪। ¯’ায়ী ঠিকানা ঃ গ্রাম: ইনাতাবাদ, ডাকঘর: মোল্লারগাঁও, উপজেলা: সদর, জেলা: সিলেট।
০৫। বর্তমান ঠিকানা ঃ ২০/৪, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।
০৬। জন্ম তারিখ ঃ ৩০-১১-১৯৬১ (গ্রাম: শ্রীপুর, ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়ন, উপজেলা: সদর, থানা: জালালাবাদ, জেলা: সিলেট।)
০৭। ধর্ম ঃ ইসলাম
০৮। জাতীয়তা ঃ বাংলাদেশী
০৯। শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ
পরীক্ষার নাম বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় পাসের সন পাসের বিভাগ
এস,এস,সি কুমিল্লা ১৯৭৭ দ্বিতীয় বিভাগ
এইচ,এস,সি কুমিল্লা ১৯৭৯ দ্বিতীয় বিভাগ
স্নাতক(পাস) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮১ দ্বিতীয় শ্রেণি (সমমান)
স্নাতকোত্তর (শেষ পর্ব) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৪ দ্বিতীয় শ্রেণি ৪র্থ ¯’ান
১০। রাজনৈতিক কর্মকান্ড:
(ক) ১৯৭৭-১৯৭৯ মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য।
(খ) ১৯৮০-১৯৮১ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সদস্য।
(গ) ১৯৮৪-১৯৮৫ কবি জসিম উদ্দিন হল (ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়) শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক।
(ঘ) ২০০২-২০০৭ সিলেট জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক।
(ঙ) ২০০৮-২০১৯ সিলেট জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক।
(চ) ২০১২-২০১৯ কেন্দ্রিয় কৃষকলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য
(ছ) ২০১১-২০১৯ সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
১০। চাকুরী জীবন শুরু ঃ
(ক) ১৯৯০ সালে প্রভাষক হিসেবে ১ম যোগদান, সৈয়দ নবিব আলী কলেজ, আলীনগর, বিয়ানীবাজার, সিলেট।
(খ) ১৯৯১ সালে দক্ষিণ সুরমা কলেজে খন্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগদান।
(গ) ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ সুরমা কলেজে ¯’ায়ী প্রভাষক হিসেবে যোগদান।
(ঘ) ২০০৬ সালে দক্ষিণ সুরমা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দয়িত্ব গ্রহন।
(ঙ) ০১/০১/২০১১ থেকে দক্ষিণ সুরমা কলেজে ¯’ায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করে বর্তমানে কর্মরত আছেন।
১১। সামাজিক উন্নয়নে সংক্ষিপ্ত বিবরন ঃ
(ক) প্রতিষ্ঠাতা,আব্দুল গফুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনাতাবাদ, সদর, সিলেট।
(খ) প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, আব্দুল গফুর মেধা ভিত্তিক প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা।
(গ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টা, ইনাতাবাদ মিফতাউল উলুম মাদ্রাসা, সদর, সিলেট।
(ঘ) সেক্রেটারী, পাইকারগাঁও শ্রীপুর জামে মসজিদ, সদর, সিলেট।
(ঙ) সেক্রেচারী, পাইকারগাঁও ইনাতাবাদ ঈদগাহ কমিটি, সদর, সিলেট।
(চ) প্রেসিডেন্ট, রোটারী ক্লাব সিলেট সুরমা (২০১৮-২০১৯)
(ছ) যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ কলেজ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) কেন্দ্রিয় কমিটি।
(জ) সাংগঠনিক সম্পাদক, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) কেন্দ্রিয় কমিটি।
(ঝ) সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) সিলেট জেলা।
১. ইতিহাস আর ঐতিহ্যে সম্মৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ সিলেটের দক্ষিণাঞ্চল দক্ষিণ সুরমা উপজেলার প্রধান বিদ্যাপিঠ এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া এ কলেজে বর্তমানে উ”চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), ৯টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ৩টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর (১ম পর্ব) কোর্সে প্রায় সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
২. দক্ষিণ সুরমা কলেজে পাঠদান কার্যক্রম অত্যান্ত নিয়মতান্ত্রিক ও সুশৃঙ্খল। সেমিষ্টার পদ্ধতি ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ফলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপ¯ি’তি, অংশগ্রহনমূলক শ্রেণি পাঠক্রম, শিক্ষকদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা ভাল ফলাফলে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ন, পরীক্ষায় উপ¯ি’তি নিশ্চিতকরণ, শ্রেণি পরীক্ষা ও সেমিষ্টার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র মডারেশন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে কঠোর তত্ত্বাবধানে রেখেই দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি যেমন দূর হয় তেমনি পরীক্ষায় অংশগহনের আগ্রহও তৈরি হয়, যা তাদের পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। শ্রেণিতে অনুপ¯ি’ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করণের চেষ্টাও অব্যাহত থাকে। অধুনা ডিজিটাল পদ্ধতি ‘অঙ্গুলিছাপ’ এর মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে ও পরীক্ষায় উপ¯ি’ত নিশ্চিত করনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র রাজনীতি মুক্ত হওয়ায় শিক্ষার সুষ্টু পরিবেশ সবসময়ই বিরাজমান। নিয়মিত শেণি কার্যক্রম পরিচালনা, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টিউটোরিয়াল ক্লাস নিয়মিত চালু থাকায় শিক্ষার্থীদের বাড়তি কোন চাপ বহন করতে হয় না। তাছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, রোভার স্কাউট সহ রক্তদান কর্মসূচী, সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়াবলী নিয়ে প্রতিনিয়ত সভা-সেমিনার ইত্যাদি হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের বৈশি^ক সচেতনতা বৃদ্ধি করে যুগপোযোগী বিশ^ নাগরিক গড়ে তোলার প্রয়াস অব্যাহত আছে।
৩. বর্তমান সরকারের শিক্ষা বান্ধব নীতি বিশে^ রোল মডেল হতে পারে বলে আমার বিশ^াস। প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে উ”চ শিক্ষার আলোকে আলোকিত করার লক্ষ্যে বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের জেলা সদর সহ উপজেলা পর্যায়ে কলেজগুলোতে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর যে ধারা চালু রয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তাছাড়া সময়মতো পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় বাঁচিয়ে কর্মজীবনে উপযুক্ত সময়ের মধ্যেই প্রবেশ করতে পারে বিধায় শিক্ষার্র্থী নিজ পরিবার, জাতি তথা দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে পারে।
৪. প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই গুরুত্ব বহন করে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা আমাদের সবারই কর্তব্য। যদিও ধর্মীয় শিক্ষার জন্য আলাদা কোন ব্যব¯’া নেই। তবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। তাছাড়া জাতীয় ভাবে উদযাপিত বিশেষ দিবসগুলো পালন করা সহ নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচী, রোভার আন্দোলনের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে নিয়মিত ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৫. এ প্রতিষ্ঠানে উ”চ মাধ্যমিক পর্যায় থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত। আমাদের সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী তাদের সৃজনশীলতা ও আন্তরিকতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রগতি ও মূল্যবোধে অগ্রণী শেখ হাসিনার ‘রুপকল্প’ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে বিশে^র দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার শুভ প্রয়াস অব্যাহত রাখছি।
৬. মেধাবী, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বৃত্তি প্রদানে ব্যব¯’া আছে। বছরে ১০ জন মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীকে সেলাই মেশিন ও বাই সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধার সন্তানদের জন্য বিনাবেতনে অধ্যয়নের ব্যব¯’া চালু আছে।
৭. স্নাতকোত্তর শেষ পর্ব চালু করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আর স্নাতকোত্তর শেষ পর্ব চালু হলে ‘একই ছাদের নীচে’ (উ”চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর) থেকে শিক্ষার্থীদের কৈশোর থেকে যৌবন পর্যন্ত সময়কালের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিষ্টান থেকেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি হবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি।